কয়েক মিনিট সময় নিয়ে পড়ুন। গল্প - পরিস্থিতি
গল্পটি শুরু পূর্বে কিছু বিষয় বলে নিই। আমরা ঈদুল আজহা বা ঈদুল ফিতর বা যে কোন পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক, এসবের উপলক্ষে সবাই নিজের জন্ম স্থানে অবস্থান নিই। শহরে বা নগরে যেই অবস্থানে থাকি না কেন। এই ঈদুল আযহা উপলক্ষে পরিবারে সবাই আমরা একই গৃহে অবস্থান করি। এতে আপনার পরিবারে থাকার জায়গা না ও হতে পারে।
জায়গা সংকুলন না হওয়ার কারণে প্রাপ্ত বয়স্ক চাচাতো ভাই-বোনকে আমারা একই কক্ষে ঘুমাতে স্থান করে দিই। পাশাপাশি মা- বাবারা আরেকটি বিষয় মনে করে, এই পরিবার বাহিরের কেউ নেই, তাই মেয়ে বা বোনদের পর্দাশীলতার বিধান সম্পর্কে সচেতন থাকি না বা মা- বাবারা মেয়েদেরকে পর্দাশীলতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করি না। যেহেতু মা - বাবারা মনে করে এরা তো আপন রক্ত, একই পরিবারের বড় ছোট সবাই ভাই বোন।
আমরা সবাই জানি ইসলামিক বিধান সম্পর্কে আপনার ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়ষ্ক হলে, মেয়ে কে পর্দাশীলতার ব্যাপারে সচেতন করুন, একে অপরের সাথে অবাধ মেলামেশার ব্যাপারে সচেতন করুন।
প্রাপ্ত বয়স্ক হলে পৃথক ভাবে থাকার ব্যাপারে সচেতন হোন। একে অপরের সাথে ( চাচাতো-মামাতো - ফুফাতো ভাই - বোন ) আলাপ চারিতার ক্ষেত্রে সচেতন করুন।
বর্তমান সময়ে মোবাইল শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আপনার ছেলে-মেয়ে মোবাইলের মধ্যে সঙ্গ বদ্ধ হয়ে বা একাকি নির্জনে কে কি দেখে সেই সব ব্যাপারে সচেতন করুন বা সচেতন থাকুন। কারণ মোবাইলের মধ্যে ভাল খারাপ সবি নিহীত।
গল্প - পরিস্থিতিঃ
একদিন আমি একটি হাসপাতালের পাশ দিয়ে আমার অফিসে যাযছিলাম। এমন সময় দেখতে পেলাম একটি ফুটফুটে মেয়েকে নিয়ে ঐ হাসপাতাল থেকে একটি বৃদ্ধ মহিলা ও বৃদ্ধ পুরুষ বাহির হচ্ছিল। আমি তাদেরকে দেখে রাস্তার পাশে হাসপাতালের দেওয়াল গেষে আমি দাঁড়িয়ে দেখতে ছিলাম এবং দেখলাম মেয়েটি কেমন জানি বৃদ্ধ মহিলা ও পুরুষটির সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তারপর দেখলাম, আমার মত তাঁরা ও হাসাপাতালের দেওয়াল গেষে দাঁড়িয়ে রইলেন। আমার মনে হল তাঁরা যেন কারো জন্য অপেক্ষা করছে।
কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম ঐ হাসপাতাল থেকে একজন ভদ্র লোক বাহির হয়ে, ওদের সাথে কথা বলছিল। সেই ভদ্র লোকটির একহাতে কিছু ডাক্তারি ডকুমেন্টস দেখতে পেলাম। আর কি জানি তাদেরকে বলছিল। আর দেখতে পাচ্ছিলাম বৃদ্ধ মহিলা ও পুরুষ উভয়ের চোখ যেন অশ্রু সিক্ত হচ্ছে ক্রমানয়ে। আর ফুটফুটে মেয়েটির যেন কালো মেঘে আচ্ছন্ন। আর কেমন জানি রাস্তার পথ চারিকে দেখলে ভয় পাচ্ছিল।
পরে সেই ভদ্রলোক সাথে বৃদ্ধ মহিলা ও পুরুষ সবাই মিলে গাড়িতে করে চলে গেলেন। আর আমি ইতস্তত হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম, এমন দৃশ্য পট দেখে। পরে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি আলতো আলতো পায়ে চিন্তিত হয়ে আমার অফিসে চলে গেলাম।
পরের দিন আমার অফিসে যাওয়ার পথে এদেরকে আবার দেখতে পায় কিনা, সেই জন্য হাসপাতালের মেইন গেইটে এসে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি । কারণ আমার মনের মধ্যে একটি বিষয় গুরপাক করছিল ফুটফুটে মেয়েটি কেন রাস্তার পথচারীকে দেখে ভয় পাচ্ছিল ? এটা জানার ইচ্ছা ছিল। তাদের অশ্রু সিক্ত নয়ন দেখে ঐ দিন আর জিজ্ঞেস করা হয়নি।
১ দিন ২ দিন ৩ দিন হল আর দেখা পেলাম না তাদের। প্রশ্নটায় আমার মনের মধ্যে রয়ে গেলে। ৪ দিনে পর আবারও আমি সেই হাসপাতালের পাশ দিয়ে, আমার অফিসে যায ছিলাম । হঠাৎ পূর্বের সেই বৃদ্ধ লোকটিকে হাসপাতালের আঙিনায় ( গেস্ট রুম ) রাস্তা থেকে দেখতে পেলাম। দেখলাম সে বিষন্ন আনমনা হয়ে একটি চেয়ারে বসে আছে। আর অপলোক দৃষ্টিতে একদিকে তাকিয়ে আছে।
আর আমি ছুটে গেলাম তার পাশে। কেমনে প্রশ্নটি করব তাকে সেটি চিন্তা করতে পারছি না। কেমনে তাঁর সাথে পরিচয় পর্বটি সেরে, আমার মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রশ্নটি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। আর লোকটিও আমাকে দেখে কেমন জানি ইতস্তত বোধ করছিল।
অনেক্ক্ষণ বসে থাকার পর কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম ঐদিন দেখা সেই ভদ্রলোকটি হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে বাহির হয়ে সেই বৃদ্ধ লোকের কাছে আসল। আর বৃদ্ধ লোকটি স্যার শব্দটি বলে ভদ্রলোকটিকে বলল- কি বলল ডাক্তার ? ভদ্রলোকটি বলল আপনাকে ডাক্তারে যেতে বলল। তখন বৃদ্ধ লোকটি চেয়ার থেকে উঠে ডাক্তার কাছে গেল। আর ভদ্রলোকটি সেই বৃদ্ধ লোকের চেয়ারে বসল।
আর আমি ভদ্রলোকটিকে আমার পাশে বসতে দেখে আমি মানসিক সস্তি পেলাম। আমার মনে হলে এই ভদ্রলোকটিকে আমার প্রশ্নটি করতে পারব। পরে আলতো ভাবে সুরুলিত কন্ঠে তাকে বললাম ভাই আপনি কি ডাক্তারের কাছে আসলেন। তখন সেই ভদ্রলোক কোন উত্তর দিল না। পরে আবার তাকে সালাম দিলাম। তখন সেই ভদ্রলোক আমার দিকে তাকি সালামের উত্তর দিল। আর আমাকে বলল কিছু বলবেন। তখন আমি বলাম হ্যাঁ।
তখন প্রশ্নটি করে ফেললাম - আজকে থেকে ৪ দিন আগে আপনাদের সাথে ফুটফুটে একটি মেয়ে দেখতে পেয়ে ছিলাম। আমার প্রশ্নটি শেষ হতে না হতে, সেই ভদ্রলোক বলে উঠল। উঠা আমার ছাত্রী আর বৃদ্ধ মহিলা ও পুরুষ তার মা- বাবা। আমি বললাম তাই।
আচ্ছা আরেকটি প্রশ্ন ছিল - আপনি কিছু মনে না করলে বলতাম প্রশ্নটি। প্রশ্নটি করতে না করতে আমার অফিস থেকে কল আসল। আমি কলটি রিসিভ করলাম, ঐপার থেকে বলছিল স্যার আজকে অফিসে আসবেন না। আর আমি বললাম হাসপাতালে আসছি। এটি বলে আমি কল কেটে দিলাম। এর পর আবারও সেই ভদ্রলোকটিকে আমার প্রশ্নটি বলার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিলাম।
ভদ্রলোকটি থেকে হ্যা সূচক উত্তর আসল। আর আমি প্রশ্নটি করে বসলাম - আচ্ছা আপনার ছাত্রী রাস্তার পথচারীদের দেখলে ভয় পাচ্ছে কেন? তখন লোকটি বলল সেই মেয়েটি আমাকে তার মাকে ও বাবাকে ছাড়া বাকি সবাইকে দেখে ভয় পায়। বিশেষ করে ১৫ থেকে ২৬ বছরের কোন পুরুষ লোককে দেখলে বেশি ভয় পাই। আর আমি বললাম কি বলেন।
ভদ্রলোকটি জি বলে সম্মোধন করেন ! তারপর আমি বললাম মেয়েটি তো প্রাপ্ত বয়স্ক বা ১৫ থেকে ১৬ বছর হবে। এখনো ভয় পাই। ছোট হলে না ভয় পায়ই তো ।
তখন ভদ্রলোকটি বলল সে মহিলা কলেজে পড়ে আমি তাকে প্রাইভেট পড়াই। তার পর ভদ্রলোকটি আরো বলল আজকে থেকে ৩ মাস আগে কলেজের ২য় বর্ষের মাঝামাঝিতে তার বিয়ে হয় অনেক সুকৌশলে।
ভদ্রলোকটি আরো বলল বিয়ের কিছুদিন পর মেয়েটিকে শশুর বাড়ি থেকে আবার পাঠিয়ে দেই বাপের বাড়িতে। শশুর বাড়ির লোকজন জানাই - মেয়েটি তার স্বামীকে দেখে ভয় পাই।
পরে ভদ্রলোকটিকে আমি বললাম কেন স্যার ? স্যার তখন বলল আমরা তো ইসলামের পর্দার বিধান মানি না। মানলে ও মানার মত অনুসরণ করি না। স্যার কে বললাম জি। তখন স্যার বলল আমরা যতই উচ্চ পর্যায়ের পরিবারের সন্তান হয় না কেন ?
প্রাপ্ত বয়স্ক হলে মেয়েদেরকে পর্দার ব্যাপারে সচেতন করা উচিত। আর চাচাতো - ফুফাতো - মামাতো ভাই ইত্যাদি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে, আপনার মেয়েকে এদের সাথে মেলা মেশার ব্যাপারে সচেতন করা উচিত। এদের সাথে হাসিট্টার সময় একে অপরের সাথে সংস্পর্শে যেতে পারে। এই সব ব্যাপারে সচেতন করা উচিত মেয়েকে। পাশাপাশি মেয়েকে চাচাতো - ফুফাতো - মামাতো ইত্যাদি ভাইদের সামনে অশালীন কাপড় পরিধান করে এদের সামনে যেতে দেওয়া থেকে বিরত করা উচিত।
আর প্রাপ্ত বয়স্ক হলে মেয়েকে ( অবিবাহিত ) মেয়ের সাথে ঘুমাতে দেওয়া উচিত। আর প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ছেলেদের কে আলাদা ভাবে ঘুমাতে দেওয়া উচিত।
এই সব বিষয়ে সচেতন না হলে বড় দূর্ঘটনা সম্মুখীন হতে হবে সকলকে। আর আমি সবি নীরবে শুনলাম। এর পর বললাম আপনার ছাত্রীর কেন এই সমস্যা ?
আমার ছাত্রী বাপের বাড়ি চলে আসা শুনে, আমি তাদের বাড়িতে গেলাম। আর তখন আমি এই বিষয় তার মা - বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার মেয়ের কি সমস্যা ? তখন মা - বাবারা বলল- মেয়ে তো আমাদের কে কিছুই বলে না ! সারাক্ষণ গম্ভীর হয়ে বসে থাকে !
মেয়েটির মা - বাবা বলল আমাকে ছাত্রীর কাছ থেকে জিজ্ঞেস করতে ? কেন সে এমন করেছে ? আমরা তো শত চেষ্টা করে পারি নি। তুমি হলেও পার কি না দেখ। স্যার তখন বলল - আমাকে বলবে, আর আমি তো এখন পড়াই না। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর। আমার সাথে কি কথা বলবে। আর আমি শুনলাম- সে ছেলেদের দেখলে ভয় পাই।
আচ্ছা একটু চেষ্টা করে দেখতে পারি। আর ওকে বলবা আপনার স্যার কাল তোমার সাথে কথা বলবে। এটি বলে আমি ওদের বাস থেকে চলে আসলাম আমার বাসাই। পরের দিন আমি তার বাসাই গেলাম। তার মা - বাবাকে বললাম আপনার মেয়ে কই।
ওরা বলল ঐ রুমে সারাক্ষণ দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। আর আমি আস্তে আস্তে দরজার সামনে গেলাম। একটু ঠুকা দিলাম দরজায়, পরে দরজা খুলে আমাকে সালাম দিল। আর বলল স্যার কেমন আছেন ? আর আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার চোখ খানি সহস্র চিন্তায় বিভোর। চোখে নিচে যেন কালো লালিমায় চেয়ে গেছে।
পরে আমাকে বসতে দিল তার কক্ষে। আর তার মা - বাবাকে ভেতরে আসতে দিল না। আর দরজা বন্ধ করে দিল। তখন আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। পরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার কি সমস্যা ? এসব কি শুনছি।
তখন ছাত্রী আমাকে বলল বাবাকে আর আপনাকে ছাড়া বাকি ছেলেদের দেখলে আমার ভয় লাগে। আমার সাভাবিক শক্তি ঠিক থাকে না। তুমি বিয়ের আগে তোমার মা- বাবাকে বলনাই কেন এসব বিষয়ে ? ওরা জানত এই সব বিষয়। তবে কি কারনে আমি ভয় পায় তাঁরা জানত না। তারা আমাকে অনেক ডাক্তার দেখাই ছিল। তারপর ও আমি সুস্থ নই।
কোন ডাক্তারে বলছে আমাকে বিয়ে দিলে সবি ঠিক হয়ে যাবে। তারপর আমাকে সুকৌশলে বিয়ে দেই। কি কারণে হল, বলো এইসব, কেন ভয় পাও ?
তখন কান্না বিজড়িত হয়ে বললো আজকে থেকে এক বছর পূর্বে থেকে আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে একটি দূর্বীসহ ঘটনা গঠে । তখন আমি বললাম, কি বল ? এরপর ছাত্রী ঘটনার ক্রমানয়ে কারণ বলতে লাগল। আমাদের বাবাদের বসত ভিটা ছোট হওয়ার কারণে আমাদের চাচা চাচী ও চাচাতো ভাইদের থাকার সমস্যা হচ্ছিল। তাই ওরা অপর আরেকটি গ্রামে জায়গা নিয়ে, ঐ গ্রামে বসত ভিটা তৈরী করে, ঐ গ্রামে চলে যায়।
মাঝে মধ্যে আমার চাচাতো ( ০৯ শ্রেণীর ছাত্র ) ভাইয়ের স্কুল বন্ধ দিলে, চাচা চাচী ও চাচাতো ভাই আমাদের বাসাই বেড়াতে আসত। কয়েকদিন থেকে যেত। আর আমার মা - বাবা চাচাতো ভাই কে আমার সাথে থাকতে দিত। আমি ইতস্তত বোধ করলে, বলতো- আরে এতো তোমার ছোট ভাই। সমস্যা নেই ঘুমাও ( আমি তখন কলেজ ১ম বর্ষের ছাত্রী ) । যেহেতু থাকার জায়গা সংকট আমাদের বাসাই তিনটি রুম । একটিতে আমার মা- বাবা আরেকটিতে আমি ঘুমাতাম। ওরা আসলে ১ম কক্ষে আমার চাচা- চাচী।২য় কক্ষে আমার মা - বাবা। ৩য় কক্ষে আমি ও চাচাতো ভাই। জায়গা সংকট এটি মনে করে আমিও ঘুমিয়ে যেতাম।
আর বাকিরা অপর দুইটি কক্ষতে ঘুমাতো। আর আমি ও চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘুমিয়ে যেতাম, আমার কক্ষে একই কাঠে । আর রাত যখন গভীর হত তখন আমার চাচাতো ভাইয়ের চরিত্রে আমি বিদ্রোপ অবস্থা দেখতে পেতাম।
স্যার তখন আমি কিছু বলতে পারতাম না। আমার সম্মানের কথা চিন্তা করে। আর আমার মা- বাবার সম্মানের কথা চিন্তা করে। যতদিন সে আমাদের বাসাই থাকত ততদিন রাত হলে আমার কাছে কালো মেঘের ছায়া বেশে আসত। রাত হলে আমি ধর্ষিতার পাত্র হয়ে যেতাম। আর এটির চিন্তা করে আজ আমার জীবন বিনিষ্ট্য। ওরা চলে চলে গেলে আমি প্রাণে সস্তি পেতাম।
এরপর থেকে রাতে আমার পাশে কোন পুরুষ মানুষ শুইতে দেখলে। আমার চিন্তা শক্তি ঠিক থাকে না। মনে হয় সে আমার পূর্বে ধর্ষিতার দর্শক। এতে তার সাথে আমি খারাপ আচরণ করি। স্যার তখন অশ্রু সিক্ত নয়নে তাকে বললো তা হলে এই সব।
আর আমি স্যারের এসব বর্ণনা শুনে, আমার ও চোখে অশ্রু জলজল করছিল। স্যারকে আমি বললাম তাই আপনি আমাকে ইসলামের বিধান সম্পর্কে বলছিলেন এসব ঘটনা ক্রমের জন্য। স্যার বলল জি।
পরে স্যার এসব বিষয় বলে, আর বলে ডাক্তারের কাছে এই জন্য আসলাম আমার ছাত্রী কে কেমনে সুস্থ করা যায়। যেহেতু তার মা - বাবা লেখাপড়া জানে না। শহর- নগর ও হাসপাতাল চিনে না। আর আমি ও একই এলাকায় থাকি। তাই এদের সাথে প্রতি ৪ দিন পর পর আসতে হয় হাসপাতালে।
এটি বলতে না বলতে, ডাক্তারের কক্ষ থেকে মেয়েটির বাবা বেরিয়ে আসল। পরে স্যার সহ হাসপাতাল থেকে চলে গেলেন। আমি চিন্তা করে হাসাপাতালে বসে থাকা আসনে ইতস্তত পাথর হয়ে গেলাম। মনে হলে আমি আমার মধ্যে নেই।
পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে, বাসায় চলে আসলাম, যেহেতু অফিসের সময় চলে গেল। আর বাসায় এসে চিন্তা করলাম। ইসলামের বিধান শান্তির বিধান। যা পূর্বে ও পরে নিয়ম নীতি নির্ধারিত। যার কাজের ভাল ও খারাপ ফলাফল সুনির্দিষ্ট ও সুনিশ্চিত।
শেষ মূহুর্তে একটি কথাই বলবঃ মা - বাবাকে আপনার মেয়ের পর্দাশীলতার ব্যাপারে সচেতন করুন । প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তাদের ঘুমানোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন । নিজেদের কে Don’t mind বলে যতই স্টান্ডার ফ্যামেলিতে রুপান্তরিত করেন না কেন? আপনার মেয়ে ও উপরোক্ত ঘঠনার মত আড়ালে ধর্ষিতা হতে পারে।
( গল্পটি কাল্পনিক )
লেখকঃ
ফয়সাল জুয়েল
Like Our Facebook page : Faysal's Education Counsel
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন